আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক। মঙ্গলবার যেই দিন লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাল ইসরায়েল সরকার, সেই দিনই এ হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ৬
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেমটির জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুত, পূর্ব লেবাননের বালবেক, দক্ষিণ লেবানের বেন্ত জেবেইল, চাকরা, মধ্যাঞ্চলের আল বাস্তা ও বারবোর থেকে এই নিহত ও আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর লেবাননে অভিযানের মধ্যেই এই যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বিশেষ সেশন আহ্বান করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সে সেশনে লেবাননের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ অবশ্য সোমবার সাংবাদিকদের বলেন যে, যুদ্ধবিরতির ‘আগ মুহূর্ত পর্যন্ত’ লেবাননে এই অভিযান জারি রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আরও পড়ুন: সিএনজি-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে যুবক নিহত
মঙ্গলবার ২ মাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবানন থেকে নিজেদের সকল ধরনের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে। অপরদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে চলে যাবে। এছাড়াও হিজবুল্লাহ সীমান্তে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ও নিজেদের পুনঃরায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।
সান নিউজ/এমএইচ