আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় ২ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী দলগুলো নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে রকেট হামলা, আহত ১১
বন্যায় বেশ কিছু সেতু ধ্বংস হয়েছে, বিভিন্ন শহর কাদা পানিতে ঢেকে গেছে। পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য সংকটে থাকা অনেক জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অধিবাসীদের অনেকেই বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আরও দ্রুত বন্যার ঝুঁকির সতর্কতা দিলে হয়তো আরও প্রাণ বাঁচানো যেত।
ভেলেনসিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে ভয়াবহ আবহাওয়া পার করলেও স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এখনও সতর্ক সংকেত আছে। সেখানে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হুয়েলভা অঞ্চলও রয়েছে। কারতায়া শহরে মাত্র ১০ ঘণ্টায় যে বৃষ্টি হয়েছে তা সাধারণত সেখানকার দুমাসের বৃষ্টির সমান। আরও দক্ষিণের জেরেজ শহরে প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শত শত পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : গাজায় একদিনে নিহত ৮৪
ভেলেনসিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লস ম্যাজন বলেছেন, আরও সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছেন তারা। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সামাজিক মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তাদের ‘সংহতি এবং স্প্যানিশ সমাজের প্রতি তাদের সীমাহীন ত্যাগের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
৩৩ বছর বয়সী এক ফার্মাসিস্ট জানান, এখানে যথেষ্ট দমকল কর্মী নেই। বেলচা পর্যন্ত এখনও কেউ এসে পৌঁছায়নি। তিনি তার বন্ধুর ঘর থেকে কাদা পরিষ্কারে সহায়তা করছিলেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু মানুষকে লুটপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলদাইয়া শহরের একজন অধিবাসী বলেন, তিনি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেট থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে দেখেছেন কারণ লোকজন ‘কিছুটা মরিয়া হয়ে’ উঠেছে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ৭
এবারের দুর্যোগের জন্য বছরের বাকী সময় ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়াকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর কারণে স্পেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বহু এলাকায় বৃষ্টির পানি শুষে নেওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে। এছাড়া বন্যার তীব্রতার জন্য জলবায়ুর উষ্ণায়নও ভূমিকা রাখছে।
সান নিউজ/এমআর