আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদর দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনী গোলাবর্ষণ করলে এই ঘটনা ঘটে। এই হামলার ফলে ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: ইন্ডিগোর ফ্লাইটে যাত্রীকে ‘শ্লীলতাহানি’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে থাকা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী বলেছে, নাকুরা শহরে তাদের কার্যালয়ের ওপর ইসরায়েলি ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে আঘাত হানা হয়েছে এবং দুইজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসরায়েল স্বীকার করেছেন, তার বাহিনী ওই এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে। দেশটি দাবি করেছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা জাতিসংঘের ওই পোস্টের কাছে তৎপরতা চালাচ্ছিল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সৈন্য পাঠানোর কাজে অন্যতম প্রধান অবদানকারী দেশ ইতালি বলেছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড ‘যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে’। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই ঘটনায় “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
আরও পড়ুন: বৈরুতে বিমান হামলা, নিহত ২২
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই ধরনের হামলায় তারা “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”। হোয়াইট হাউস বলেছে, “আমরা বুঝতে পারছি ইসরায়েল হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য ব্লু লাইনের কাছে টার্গেটেড অপারেশন চালাচ্ছে, তবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য তাদের হুমকি না হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ”।
ইসরায়েল ১৯৭৮ সালে আক্রমণের পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করতে ইউনিফিল গঠন করা হয়েছিল। ইউনিফিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী রয়েছেন।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর জাতিসংঘ তাদের মিশন সম্প্রসারিত করে এবং সীমান্ত বরাবর তৈরি করা ‘বাফার জোনে’ টহলদারি করতে শান্তিরক্ষীদের অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কয়লা খনিতে হামলা
মূলত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরুর আগে ইসরায়েল কিছু এলাকা খালি করার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ইউনিফিল এই সিদ্ধান্ত নেয়।
সান নিউজ/এমএইচ