আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা “ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস” (আইআরজিসি) মোট ১৮১টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েন। এ সময় অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডব, মৃত্যু বেড়ে ১২৮
তবে এই হামলায় কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়নি। সেই সব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকায় ১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও দু’জন ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই গুলো আকাশেই ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলতে থাকায় মঙ্গলবার রাতব্যাপী শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে পুরো এলাকা। এ সময় জেরুজালেম-জর্ডান পর্যন্ত শোনা গেছে এই শব্দ। এদিকে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জেরে। এ হামলার আঘাত থেকে বাঁচতে রাতের মধ্যেই ইসরায়েলের বিভিন্ন বোমা সুরক্ষা কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১ কোটি মানুষ। এ সময় দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক, যাদেরকে সে সময় সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাইরে লাইভ কাজ করতে হয়েছে, তারাও এই বোমা সতর্কতার জন্য মাটিতে শুয়ে লাইভ দিয়েছেন।
অপরদিকে ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ইসরায়েলের ৩টি সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার রাতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আইআরজিসি। এ সময় ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিজে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি গোপন নিরাপদ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে স্থল হামলা শুরু
অন্যদিকে হামলা শুরু করার পর যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠক শেষে এক বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইরান অনেক বড় ভুল করেছে’ এবং এই ভুলের জন্য ইরানকে ‘মূল্য দিতে হবে।’ ইরানে হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
সান নিউজ/এমএইচ