আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ডিভাইস বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৪৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : করোনার নতুন ধরন ২৭ দেশে ছড়িয়েছে
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের কয়েকটি স্থানে হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার (যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র) একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়। পরে বুধবার আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সবমিলিয়ে মোট নিহত হন ২০ জন।
আরও পড়ুন : ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু
বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ। কিন্তু এখন পর্যন্ত লেবাননের বিস্ফোরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
বুধবার বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, আমরা যুদ্ধের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা পর্বে রয়েছি। এখন আমাদের সাহস, সংকল্প ও উদ্যম দরকার।
আরও পড়ুন : পদত্যাগ করলেন কেজরিওয়াল
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি, পেজার বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল দখলদার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। প্রায় ৫ মাস আগে লেবাননে আসা এসব পেজারে বিস্ফোরক স্থাপন করে দিয়েছিল মোসাদ। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াকিটকিতেও একই কায়দায় বিস্ফোরক ভরে দেওয়া হয়েছিল।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার নিহত ব্যক্তিদের জানাজার নামাজের জন্য জড়ো হয়েছেন অনেকে। ঠিক তখনই বিরাট বিস্ফোরণে এলাকাটি কেঁপে ওঠে।
বিবিসি বলছে, বুধবার নতুন করে ওয়াকিটকিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে এটি হিজবুল্লাহর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। এ মুহূর্তে হিজবুল্লাহর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
সান নিউজ/এমআর