আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের সরকারি হিসেবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১৬ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪২ হাজার ৬৩৮ জন।
এ পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গোব্রিয়াসেস।
১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে চার শতাধিক গবেষক এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষ অংশ নেন। যার মধ্যে চীন ও তাইওয়ান থেকে অনেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
গোব্রিয়াসেস বলেন, এখান থেকেই ভাইরাসটির জন্য আমাদের কর্মপরিকল্পনা বের হয়ে আসবে। বৈঠকের শেষ লাইনটি হবে সংহতি, সংহতি, সংহতি।
তিনি প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের নমুনা অন্যদের সঙ্গে বিনিময় করতে ও এর প্রতিষেধক এবং ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা জোরদারের উপর গুরুত্ব দেন।
এরইমধ্যে চীনের বাইরে এই ভাইরাসে ফিলিপাইনে একজন এবং হংকংয়ে আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনের বাইরে আরো ২৭টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ।
জাপানে ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ শিপে নভেল করোনাভাইরাস ৬০ জনে বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩০ এ দাঁড়িয়েছে।
অন্তত ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাসটি চীনের জন্য জরুরি অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে টেডরস বলেন, ভাইরাসটি বিশ্বের অন্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে ওষুধ, ডায়াগনস্টিকস এবং ফ্লু জাতীয় ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দুদিনের বৈঠকের শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা বলছেন ২০০২-০৩ সালে বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সার্স ভাইরাসকেও হার মানিয়েছে এবারের করোনাভাইরাস।
হংকংয়ের জনস্বাস্থ্য মহামারী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল লিং দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এটি মহামারী আকারে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন ।
করোনাভাইরাসকে আইসবার্গের সঙ্গে তুলনা করে গ্যাব্রিয়েল লিং বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই আইসবার্গের আকার এবং আকৃতি নিরূপণ করা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রত্যেক ব্যক্তি অন্য প্রায় আড়াই জনের শরীরে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটাতে পারেন। যে কারণে এই সংক্রমণের হার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ হতে পারে।
সান নিউজ/সালি