আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় চলতি বছরের মে মাসে নিহত হয় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে দেশটির তদন্ত কমিটি। এর ফলে দুর্ঘটনার পেছনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত যাত্রীর ওজন, এই ২ টি কারণকে দায়ী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস নিউজের বরাতে এই তথ্যটি জানিয়েছে।
এ সময় চূড়ান্ত এই তদন্তে বলা হয়েছে, ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পেছনে ২ টি কারণ শনাক্ত হয়েছে। ১টি হলো হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের জন্য তখনের আবহাওয়া উপযুক্ত ছিল না। এছাড়াও হেলিকপ্টারটিতে তার সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ২জন যাত্রী বেশি ছিলেন। এরই ফলে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়েন।
তার আগে গত মে মাসে সেনাবাহিনীর ১টি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এ সময় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই দুর্ঘটনার পেছনে কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ বা হামলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বন্যায় নিহত ১৯
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়, ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তটি শেষ হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া অন্য আর কিছুই না।
গত রবিবার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার। এই সময় এই হেলিকপ্টারে তিনি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি ও এ প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
তার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১ম দেশটির সেনাবাহিনী একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষে কোনো গুলি বা বুলেটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি পাহাড়ের ঢালে আঘাতের কারণেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় বলে নিশ্চিত করেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে ফের হামলা
এই তদন্তে আরও বলা হয়েছে, এই হেলিকপ্টারটি তার নির্ধারিত রুট থেকে বিচ্যুত হয়নি। এমনকি এটি বিধ্বস্ত হওয়ার দেড় মিনিট আগেও অন্য ২টি পাইলটের সাথে এর যোগাযোগ ছিল।
এদিকে ইরানের ৮ম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের ১জন। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত ছিরেন। তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মূলত তার কারণেই এই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বিস্ফোরণে নিহত ১৭
৩ বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে তাকে মনে করা হতো ১ দিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন।
সান নিউজ/এমএইচ