আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
"সকাল বেলার আমির রে ভাই
ফকীর সন্ধ্যাবেলা"।
কবি নজরুলের এই কথাগুলোই যেন হুবহু মিলে গেল আম্বানির বাস্তব জীবনে। বিশ্বের একজন অন্যতম শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। তার ভাই অনিল আম্বানিও ছিলেন শিল্পপতি। হয়ে গেছেন দেউলিয়া। এতটাই খারাপ অবস্থা যে, এখন মামলার খরচই চালাতে পারছেন না।
অনিল আম্বানি লন্ডনের আদালতকে জানিয়েছেন তাকে মামলার খরচ চালাতে গিয়ে সমস্ত গয়না বিক্রি দিতে হচ্ছে। বর্তমানে তার সমস্ত খরচ বহন করছে তার স্ত্রী এবং পরিবার। চীনের ব্যাংক গুলো তার কাছ থেকে বকেয়া পাওনা আদায় করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আম্বানিকে লন্ডনের হাইকোর্টে হাজির হতে হয়েছিল।
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আম্বানি হাজির হয়েছিলেন এবং প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তিনি তার সম্পত্তি, দায়, খরচ সম্পর্কে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। অনিল আম্বানি সেখানে দাবি করেন, তার দামি গাড়ি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে যা ছড়িয়েছে তা রটনা। পাশাপাশি আদালতে উঠে আসে তিনি তার ছেলের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বলে।
আম্বানি আদালতের নির্দেশ অনুসারে ব্যাংক গুলোকে অর্থ মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় তার কাছে তার সেইসব সম্পত্তির তালিকা চাওয়া হয় যেগুলোর মূল্য ১,০০,০০০ কোটি ডলারের বেশি। পাশাপাশি গত ২৪ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়।
অনিল আম্বানি জানিয়েছিলেন তার সম্পত্তি এখন -ঋণাত্মক হয়ে গিয়েছে। যদিও চীনের ব্যাংক গুলো সে কথা মানতে চায়নি। উদাহরণ হিসেবে তার বিলাসবহুল জীবনযাত্রার কথা তোলা হয়। যদিও সেই প্রসঙ্গে তিনি তার ভাই মুকেশ আম্বানির কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছেন বলে জানান।
ব্যাঙ্কগুলোর প্রতিনিধি আদালতকে জানান, অনিল আম্বানির দেওয়া তালিকা অসম্পূর্ণ।
এদিকে অনিল আম্বানি জানান, যেহেতু তিনি এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন না তাই তার ক্রেডিট কার্ডের সাম্প্রতিক স্টেটমেন্ট নেই। ব্যাংকের আইনজীবী জানান, অনিল আম্বানি তার স্ত্রী টিনার কাছ থেকে ইয়াচ উপহার পেয়েছেন। সেখানে আম্বানি জানান, তার সমুদ্র পীড়া রয়েছে আর তিনি এবং তার পরিবার বহুদিন ইয়াচ ব্যবহার করেন না। সূত্র: টাইমস নাউ
সান নিউজ/ বিএম