আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশের এক মাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত ১ প্রতিবেদনে এই তথ্যটি জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতে ধর্ষণের শিকার তরুণী
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। এই লেনদেনটির মধ্যস্ততা করেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।
দেশের সবচেয়ে সব থেকে বড় এবং ব্যয়বহুল প্রকল্পটি হচ্ছে রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে আশা করা হচ্ছে যে, এই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ১টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন: গাজায় একই পরিবারের ১৫ জন নিহত
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১,২৬৫ কোটি ডলার। এই খরচ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। মূলত মালয়েশিয়ার ১টি ব্যাংকের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে মোট ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
এই আত্মসাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সাথে এই চুক্তি করেন তৎকালীন তিনি। আর এরই মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ, তার মা শেখ রেহানা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ভূমিকম্পের আঘাত
২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ। এ সময় গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সেই সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।
২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে ১টি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে ১টি কোম্পানি রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলের হামলা
অপরদিকে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাদের এই কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে ১টি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
সান নিউজ/এমএইচ