আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সামান্য একটা ইঁদুর। সেটি কিনা মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। একটি ছোট্ট ইঁদুর বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এই কাজের জন্য আফ্রিকান ইঁদুর মাগওয়াকে স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মানিত করেছে কম্বোডিয়ার একটি সংস্থা। খবর এবিসি নিউজের।
এখন পর্যন্ত মাগওয়া ৩৯টি ল্যান্ডমাইন এবং ২৮টি বিস্ফোরক উদ্ধার করে দিয়েছে। ১ লক্ষ ৪১ হাজার স্কয়্যার কিলোমিটার এলাকা পরীক্ষা করে বিস্ফোরক উদ্ধারে সাহায্য করেছে এই ইঁদুর। এত বড় এলাকা ২০টি ফুটবল মাঠের সমান। মাইন ডিটেক্টরের থেকেও দ্রুত গতিতে কাজ করেছে মাগওয়া। মাটির অনেকটা নিচে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন খুঁজে বের করতে আফ্রিকান ইঁদুরকে ব্যবহার করে কয়েকটি দেশের সেনা। আর এই কাজে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছে মাগওয়া।
কম্বোডিয়ায় সোনার পদক দিয়ে সম্মানিত করা হলো মাগওয়াকে। আসলে কম্বোডিয়ার একটি সংস্থা আফ্রিকান ইঁদুরদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজে ব্যবহার করা করে। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ সাহসের সঙ্গে করছে মাগওয়া। আর তাই কম্বোডিয়ার এক সংস্থা মাগওয়াকে সোনার পদক দিয়ে সম্মান জানাল।
এই সংস্থার ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রাণী সাহসিকতার জন্য পুরস্কারে সম্মানিত হল। যদিও কম্বোডিয়ায় ইঁদুর ছাড়া অন্য ছোট আকারের প্রাণীদের দিয়েও ল্যানডমাইন থোঁজার কাজ চলে। তবে মাগওয়ার মতো এত পরিমাণ বিস্ফোরক আর কোনো প্রাণী এখনো খুঁজে দেয়নি।
বহু প্রাণঘাতী যুদ্ধের সাক্ষী কম্বোডিয়া। সেখানে এখনও বহু জায়গায় মাটির নিচে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে। সেইসব ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মাঝেমধ্যেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আর তাই মাগওয়ার মতো অনেক প্রাণীকেই ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজে লাগানো হয়। যে জায়গা বম্ব–ডিটেকটর হাতে নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় চারদিন সময় লাগবে সেখানে ৩০ মিনিটে সফলভাবে সার্চ অপারেশন চালায় মাগওয়া। তার এমন কর্মদক্ষতা সেনা কর্মকর্তাদের অবাক করেছে। আর তাই বিস্ফোরক উদ্ধারে মাগওয়া এখন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
সান নিউজ/পিডিকে