আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন অনুপ্রবেশের মাধ্যমে রাশিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং এর জন্য ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন : শান্তি প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানালো জাতিসংঘ
সোমবার (১২ আগস্ট) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, কুরস্কে অতিরিক্ত বাহিনী ও সম্পদ মোতায়েন করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবরোধ করে রাস্তাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারি সাঁজোয়া যানবাহন দ্রুত এলাকায় পৌঁছানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক প্রধান ওলেক্সান্দ্র সিরস্কিই জানান, কুরস্কের প্রায় ১,০০০ বর্গকিমি এলাকা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই তথ্য শেয়ার করেছেন এবং রাতে তার ভাষণে জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই
তিনি বলেন, যুদ্ধ এখন রাশিয়ায় ফিরে আসছে, যেমন মস্কো অন্যান্য দেশগুলিতে যুদ্ধ নিয়ে গিয়েছিল।
কুরস্কের গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভ পুতিনকে বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণে ২৮টি বসতি হারানো হয়েছে এবং আক্রমণটি প্রায় ১২ কিমি গভীর এবং ৪০ কিমি প্রশস্ত। তিনি জানান, ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ২১ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। মোট এক লাখ ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়লো ইউক্রেন
এদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ায় পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিয়েভের বাইরে রাশিয়ার বিমান হামলায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, সুমি অঞ্চল থেকে ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর