আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল গুরোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে করে আরও অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছেেএবং শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) ১ প্রতিবেদনে এ সকল তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব আবহাওয়া
এ সময় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানান, শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল হতে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছে। এতে আরও ১৮৯ জন আহত হয়েছেন। এরই মধ্যে দেইর আল-বালাহ শহরের কাছে ১টি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ঐ স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানান, স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু ও ৮ জন নারী রয়েছেন। তাছাড়াও স্কুলটিতে অবস্থানরত আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধূলিঝড়ে গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ৪
অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেন, খাদিজা স্কুলের ভেতরে হামাসের ১টি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ছিল। এ সময় স্কুলটিকে হামাস হামলার নির্দেশ, পরিকল্পনা করার ও অস্ত্র মজুত করে রাখার গোপন স্থান হিসেবে ব্যবহার করছিল।
অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানান, এই হামলায় নিহতরা হামাসের কেউ না বরং সবাই-ই বেসামরিক নাগরিক। এমনকি, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। ১টি ভিডিও যাচাই করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিও বলেন, হামলায় আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে দেখা যায়।
এদিকে টেলিগ্রামে দেওয়া ১ বিবৃতিতে হামাস জানান, হামলার স্কুলটি আমরা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছি- এই খবরটি মিথ্যা। ইসরায়েল ইচ্ছা করেই সেখানে হামলা চালিয়েছে এবং এতে নিহত হয়েছেন বাস্তুচ্যুত-অসুস্থ ও আহত মানুষজন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গায়েমির আঘাতে ফিলিপাইনে নিহত ২০
মোস্তফা রাফাতি নামে ১ প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণে আমি কেঁপে উঠি ও মাটিতে পড়ে যাই। এব পরে কোনো রকমে উঠে দৌড়ে স্কুলের ভেতরে যাই এবং সেখানে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়ে থাকতে দেখি। এইড ভয়ানক ১ দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।
গত বছরের শনিবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় বর্বর বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এ সময় তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯,২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।
সান নিউজ/এমএইচ