আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া উপকূলে আটকে পড়া প্রায় ৩৮০টি তিমি মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় তীরে আটকা পড়ে একসঙ্গে এতো তিমির মৃত্যুর ঘটনা এটিই প্রথম। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিবিসি এ তথ্য জানায়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাসমানিয়া দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে কয়েকশ’ পাইলট তিমি আটকে পড়ার ঘটনা প্রকাশ পায়। বুধবার পর্যন্ত ৫০টি তিমিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো বেঁচে থাকা প্রায় ৩০টি তিমিকে রক্ষার চেষ্টা করছেন সমুদ্র বিষয়ক জীববিজ্ঞানীরা।
‘যতক্ষণ জীবিত প্রাণী থাকবে, ততক্ষণ উদ্ধারকাজ চলবে’ বলে জানিয়েছেন তাসমানিয়ান সরকারি কর্মকর্তারা।
এদিকে, কী কারণে তিমিগুলো তীরে চলে এসেছে, তা জানা যায়নি। সৈকতে তিমি চলে আসা ওই অঞ্চলের সাধারণ ঘটনা হলেও গত এক দশকে এত সংখ্যক তিমিকে সাগর থেকে উঠে আসতে দেখা যায়নি। তাসমানিয়ায় শেষবার ২০০৯ সালে প্রায় ২০০ তিমি তীরে আটকা পড়েছিল।
সোমবার প্রথম প্রায় ২৭০টি তিমিকে আটকে পড়া অবস্থায় দেখতে পান উদ্ধারকর্মীরা। পরে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) হেলিকপ্টারের সাহায্যে কাছেই আরও প্রায় ২০০ তিমিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
স্তন্যপায়ী এ প্রাণীগুলোকে যন্ত্রের মাধ্যমে ঠেলে বালুচর থেকে গভীর পানিতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রায় ৬০ জন দক্ষ উদ্ধারকর্মীর একটি দল এ কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি তিমিকে তারা আবারও সাগরে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
তাসমানিয়ান মেরিটাইম কনসারভেশন প্রোগ্রামের উদ্ধারকর্মীরা সোমবার ম্যাকোয়ারি হেডস নামে একটি এলাকায় তিনটি দলে প্রথম ২৭০টি তিমি দেখতে পান। দ্বীপের প্রত্যন্ত ওই অঞ্চলটিতে যাওয়ার তেমন কোনো রাস্তা এবং জলযানও নেই। প্রায় ২০০ তিমিকে বালুচরে আটকে পড়া অবস্থায় দেখা যায় এবং এর কয়েকশ’ মিটার দূরে আরও ৩০টি তিমি দেখা গেছে। ওশান বিচ নামে একটি জায়গায় আরও ৩০টি তিমি চোখে পড়ে।
অধিকাংশ তিমি ‘অপেক্ষাকৃত দুর্গম স্থানে’ রয়েছে, ফলে উদ্ধারকর্মীদের জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।পাইলট তিমি প্রায় ৭ মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং এদের ওজন প্রায় ৩ টন (৩০০০ কেজি) পর্যন্ত হতে পারে।
সান নিউজ/পিডিকে