আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ পরিবারে ১০ সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন : রাশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৮
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরের আলো ফোটার আগেই চালানো ইসরাইলি বাহিনীর এই বর্বরোচিত হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছে হামাস।
হামাস জানায়, ‘গাজা উপত্যকায় আমাদের নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করছি। কেননা তারা ইহুদিবাদী সরকার এবং তার অপরাধী সেনাবাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক ও সামরিক শেল্টার দিয়ে আসছে। ’
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চিকিত্সকরা বলেন, গতরাতে ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলো গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরের পশ্চিমাঞ্চলে আরও গভীরভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন : মমতার অভিযোগ সঠিক নয়
এসময় গাজা শহরের দুটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের মধ্যে শাতি (সৈকত) নামক ক্যাম্পের আওতাধীন একটি বাড়িতে আরেক হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ তার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন এবং তিনি সেখান থেকেই সংগঠনটির রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। হানিয়া এর আগে ইসরাইলি বিমান হামলায় তার তিন ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজনকে হারিয়েছেন৷
আরও পড়ুন : স্কুল-শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত ১১
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গতরাতে তাদের বাহিনী গাজা শহরে ইসলামি যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে, যারা ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। নিহতদের মধ্যে ইসরালিদের জিম্মি করে রাখা এবং গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইসরাইলি বিমান বাহিনীর দাবি, তারা উত্তর গাজা উপত্যকার শাতি এবং দারাজ তুফাতে হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহৃত দুটি কাঠামোতে আঘাত হেনেছে। হামাস যোদ্ধারা ওই স্কুল কম্পাউন্ডের ভেতরেই কাজ করত, যেগুলোকে হামাস তার ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত।
আরও পড়ুন : দ. কোরিয়ায় ভয়াবহ আগুন, নিহত ২০
তবে হামাস ইসরাইলি বাহিনীর ওই দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছে, তারা তাদের সামরিক উদ্দেশ্যে স্কুল ও হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলো ব্যবহার করে না।
সেইসঙ্গে গোষ্ঠীটি ওই দুটি স্কুল এবং শাতি ক্যাম্পের ওই বাড়িতে চালানো বর্বরোচিত হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছে।
সান নিউজ/এমআর