সান নিউজ ডেস্ক:
বিভিন্ন প্রসাধনীর চটকদার বিজ্ঞাপন পণ্যের বিপণনের একটা বড় অংশ। আর সে বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ভোক্তারা পণ্য কিনে তা ব্যবহার করেন। বিজ্ঞাপন প্রচারে বা পণ্য ক্রয়ে আপত্তি থাকার কথা নয় কারো। কিন্তু বিপত্তিটা তখনই বাধে যখন বিজ্ঞাপনটা আপত্তিজনক হয়ে দাঁড়ায়।
এজন্য ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপত্তিজনক বিজ্ঞাপন আইনের একটি সংশোধনী প্রস্তাব করতে যাচ্ছে ।
এ প্রস্তাবে রং ফর্সাকারী ক্রিম, যৌন ক্ষমতাবর্ধক, বন্ধ্যাত্ব দূর, বার্ধক্য নিরাময়, চুল সাদা হওয়া বন্ধ করা এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ‘জাদুকরি’ ওষুধের আপত্তিকর বিজ্ঞাপনে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ রুপি জরিমানার বিধান রাখার কথা বলা হয়েছে। সুত্র: এনডিটিভি।
নতুন এ সংশোধনীতে ১৯৫৪ সালের আগের আইনটির সঙ্গে বেশকিছু নতুন রোগ, ব্যধি ও শারীরিক পরিস্থিতির বিষয় যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন ক্ষমতাবর্ধক, রং ফর্সাকারী, বার্ধক্য নিরাময়, এইডস, চুল সাদা হওয়া বন্ধ, তোতলামি নিরসন ও বন্ধ্যাত্ব দূর করার ওষুধের বিজ্ঞাপনকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
এছারা বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে তালিকাভুক্ত ৭৮টি রোগব্যধির ওষুধ, ‘জাদুকরি প্রতিকার’ও এ সংক্রান্ত উপাদানের বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার।
বর্তমান আইনে, কেউ আপত্তিজনক বিজ্ঞাপনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের সাজা কিংবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়া যেতো। ধারাবাহিক অপরাধের জন্য সাজা মিলতো সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত দণ্ড কিংবা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড।
নতুন সংশোধনীতে এ সাজা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া বিলে বলা হয়েছে, প্রথমবার নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা যেতে পারে। পরেরবার একই অপরাধ করলে সাজার পরিমাণ হতে পারে ৫ বছর পর্যন্ত। সঙ্গে জরিমানাও বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ রুপি।
ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে, সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতেই আইনের এ সংশোধন চাইছেন তারা। বিলটি উত্থাপনের আগে এ নিয়ে জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি, পরামর্শ ও মতামত শুনবেন তারা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে নোটিস দেয়ার ৪৫ দিন সময়ের মধ্যে এ মতামত, পরামর্শ ও আপত্তি জানানো যাবে।
সান নিউজ/সালি