আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন : দ. আফ্রিকায় বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানায়, গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামলা থামানো হবে না।
আরও পড়ুন : ৮ জুন শপথ নিচ্ছেন মোদি
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলো বলেছে, যদি হামলা অব্যাহত থাকে তবে গাজায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র হবে। সেখানকার ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই তীব্র অনাহারের মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে তীব্র অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত। সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায়ই সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯ আসনে জয়ী
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী, পুরুষ এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও এসব হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর