আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর অভিযান থামছেই না। দখলদারদের হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৬ হাজার। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে সেনাসহ নিহত ২৮
গত বছরের অক্টোবর থেকে অব্যাহত এ হামলায় আহত হয়েছেন ৮১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
সোমবার (২৭ মে) রাতে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি বলছে, ৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা নিরলস ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে রেমালের তাণ্ডব, নিহত ২
অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় আরও অন্তত ৮১ হাজার ২৬ জন আহত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ৭টি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় ৩৩ জন নিহত ও ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন।
এতে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও এ ভূখণ্ডে নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: ইরানে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিধস
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বর্বর আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে ইসরায়েল।
সান নিউজ/এনজে