আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী ২৮ জুন ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।
আরও পড়ুন: রাফায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৩৫
সংবাদ মাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গত সপ্তাহে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটি। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ভাবছেন।
গত শনিবার তার সমর্থকদের পরিচালিত দোলাত বাহার টেলিগ্রাম চ্যানেল ভক্তদের উদ্দেশে আহমাদিনেজাদের একটি ভিডিও পোস্ট করে।
সেখানে তিনি বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু ইরানেই নয়, সারা বিশ্বেই দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। আমি আশাবাদী যে, আমরা শিগগিরই একটি দারুণ পরিবর্তন দেখতে পাব।
আরও পড়ুন: রেমালের তাণ্ডবে ৭ জনের মৃত্যু
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গত সপ্তাহে ঘোষণা করে ইরান। ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং ১২-২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
ইতোমধ্যেই ইরানের পার্লামেন্টে আহমাদিনেজাদ সমর্থকরা তার সম্ভাব্য প্রার্থীতাকে স্বাগত জানান। তারা দাবি করেছেন, মাহমুদ আহমাদিনেজাদ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
পার্লামেন্টে ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সি (আইএলএনএ)-এর সাথে কথা বলার সময় তাবরিজের প্রতিনিধি আহমাদ আলিরেজা বেইগি বলেন, আহমাদিনেজাদ যদি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে তিনি জিতবেন। তিনি বিশদে না গিয়ে আহমাদিনেজাদকে অযোগ্য ঘোষণার পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেন।
এর আগে ২০১৭ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেয় গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এ কাউন্সিল মূলত দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আরও পড়ুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিধস
তাবরিজের এ প্রতিনিধি বলেন, আহমাদিনেজাদকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, গার্ডিয়ান কাউন্সিল তাকে প্রার্থীতার জন্য অনুমোদন দেবে। কারণ তিনি প্রার্থী হওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়ার পরে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে এর পরিণতি হবে মারাত্মক।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইরানের শাসন ব্যবস্থার কট্টর সমালোচক হয়ে ওঠেন। এমনকি সর্বোচ্চ নেতা খামেনির প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে ঝরছে বৃষ্টি
আহমাদিনেজাদ গত ২ বছর ধরে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ অনুগতদের রোষানল এড়াতে তিনি বেশিরভাগ সময়ই নীরব থেকেছেন।
২০০৫-২০১৩ সাল পর্যন্ত ২ মেয়াদে তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আহমাদিনেজাদ এর আগে তেহরানের মেয়র ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও কঠোর অবস্থানে ছিলেন দেশটির সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
সান নিউজ/এনজে