আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে পোঁছেছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় শীতল লাভায় নিহত ৬৭
মৌসুমী বৃষ্টি, নদী তীর উপচে পড়া পানি, তার সাথে মাউন্ট মারাপির শীতল লাভা। সব মিলিয়ে বিপর্যয় নেমে আসে পশ্চিম সুমাত্রার ৪ টি জেলায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২১টি বাড়িঘর, মসজিদ, ১৯টি সেতু, প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমি। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেন, কাদার ভেতর ও নদী থেকে ৬৭ জনের মরদেহ তারা উদ্ধার করেছেন। উদ্ধারকারীরা এখনও ২০ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছেন। এর আগে নিখোঁজ থাকা ২৫ জনের মধ্যে ৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৪৪ জন।
বন্যা ও ভূমিধসে বহু বাড়িঘর ভেসে গেছে। ৪ হাজারের বেশি মানুষ আশপাশের ভবন ও সরকারি অস্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেন। বন্যার পানি নামার পর তাদের কেউ কেউ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধতে প্রস্তুত হামাস
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাতে আর বৃষ্টি না হয় সেজন্য বুধবার বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজের সাহায্যে মেঘের ওপর লবণ ছিটানো হয়েছে। এই অপারেশনের জন্য ১৫ টন লবণ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
বিমান বাহিনী, আবহাওয়াবিদেরা যখন আকাশে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত তখন উদ্ধারকর্মীরা নদী ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামগুলোতে অনুসন্ধান, সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে বেশিরভাগ বাড়িঘর, রাস্তা কাদায় ঢেকে আছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
প্রসঙ্গত, গত বছর মারাপির অগ্ন্যুৎপাতে ২৩ জনের প্রাণহানির পর থেকেই সক্রিয় আছে আগ্নেয়গিরিটি। এটি ইন্দোনেশিয়ার ১২০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। ১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ ইন্দোনেশিয়া। আগ্নেয়িগিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, বন্যা, ভূমিধসের ঘটনা দেশটিতে লেগেই আছে।
সান নিউজ/এএন