নিউজ ডেস্ক:
২০০৩ সালে ভয়াবহ সার্স ভাইরাসের সংক্রমনে চীনে মৃত্যূ হয়েছিল ৮১১ জন মানুষের। আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮১৩ জনের। কেবল চীনেই এর সংখ্যা ৮১১। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার ১৯৮ জন।
০৯ ফেব্রুয়ারি রোববার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ০৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮১১ জনের মৃত্যু হয়। শুক্র থেকে শনিবার মধ্যরাতের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। এরমধ্যে ৮১ জনই হুবেই প্রদেশের। এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। চীনের বাইরে ফিলিপিন্সে এর আগে মারা গেছেন আরও দুই চীনা নাগরিক।
এরইমধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব ২০০২-০৩ সালের সার্সকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেবার সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমে (সার্স) মৃত্যু হয়েছিল সব মিলিয়ে ৭৭৪ জনের মতো। আর আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে এবারের করোনাভাইরাস ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সার্সকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
সে সময় সার্স ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের প্রায় ২৪টি দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১০০ জনের কাছাকাছি।
রয়টার্স জানায়, শনিবার নতুন করে ২ হাজার ৬৫৬ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সংখ্যা আগের কয়েক দিনের চেয়ে কম।
তবে করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব সর্বোচ্চ পর্যায় পেরিয়ে এসেছে কি না, সে বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না বলেই মনে করছেন মিশিগান ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজির অধ্যাপক জোসেফ আইসেনবার্গ।
গতবছরের শেষ দিন চীনের উহান থেকে এই নতুন করোনাভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর কেউ কেউ ‘চীনা ভাইরাস’আবার কেউ ‘উহান ভাইরাস’হিসেবে করোনার বর্ণনা করছিল।
ভাইরাসের নামের সঙ্গে দেশ বা এলাকার নাম থাকলে বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। এই বিবেচনায় দ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন নাম ঠিক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রথামকিভাবে বলা শুরু হয় নভেল, অর্থাৎ নতুন করোনাভাইরাস, সংক্ষেপে ২০১৯ এনসিওভি।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন শনিবার আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন নাম ঠিক করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের জন্য।
এ ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গগুলো নিউমোনিয়ার মত বলে এর চীনা নাম হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া, সংক্ষেপে- এনসিপি।
সান নিউজ/সালি