আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অধ্যুষিত দেশ পাকিস্তানে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা নিজ ধর্মের অন্য সম্প্রদায়ভুক্ত সংখ্যালঘু মানুষকে হত্যা করছে।
‘এশিয়া টাইমস ফিনান্সিয়াল’ পেশোয়ার থেকে পাওয়া সংবাদে জানায়, রাষ্ট্রীয় মদদেই সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদে লিপ্ত হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নিরা। তাদের টার্গেট হচ্ছে শিয়া ও অন্যান্য সংখ্যালঘু।
৯৫ শতাংশ পাকিস্তানি ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ সুন্নি। শিয়া সম্প্রদায়ভুক্তরা হলেন মুসলমানদের ৫ থেকে ১৫ শতাংশ। খ্রিস্টান, হিন্দু ও আহমদিয়ারা মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ।
আগস্ট মাসে উগ্রবাদী সহিংসতায় চার ব্যক্তির প্রাণ গেছে। তাদের মধ্যে দুজন শিয়া, একজন আহমদিয়া ও একজন মার্কিন নাগরিক। ঠিক একই সময়ে ৫০ ব্যক্তিকে ব্লাসফেমি (খোদাদ্রোহ) আইনের ২৯৫-এ এবং ২৯৮ ধারার মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ , তারা মহানবীর সাহাবাদের সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। ইসলাম অবমাননার দায়ে এই আইনে অভিযুক্তকে জরিমানা, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায়। শিয়াদের মাহফিলে বক্তাদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনে মামলা করার দাবিতে কয়েক দিন আগে করাচি নগরীর রাস্তায় মিছিলের আয়োজন করে তাহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। মিছিলে এই সংগঠন দুটির হাজার হাজার অনুরাগী অংশ নেন। মিছিলকারীরা শিয়াদের ইমামবাড়ায় পাথর ছোড়েন এবং ওই এলাকায় ভাঙচুর চালান।
পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজকে রাষ্ট্রপিতা জিন্নাহর দর্শন মানতে হবে। জিন্নাহ বলে গেছেন, ধর্মবিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। এর দ্বারা নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর | Sun News