আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ১০৮ জন। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বাহিনী দখল নিলো রাফা ক্রসিং
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, রাফায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে। প্রস্তাব মেনে নেয়ার বিষয়টি মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ।
অবশ্য এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলছে, ইসরায়েলের যেসব দাবি রয়েছে, এ প্রস্তাবে সেসব নেই। কিন্তু তারপরেও আলোচনার জন্য কায়রোতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে ইসরায়েলি সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট আজ
তবে রাফায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা। তাদের সেনারা শহরের পূর্বদিকের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার বিষয়ে হামাস জানায়, তাদের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
মিশরের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও ফোনে একই কথা জানিয়েছেন তিনি। আল জাজিরাকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। সেখানেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি ঝুলে আছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল-১২ বলছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে হামাসের প্রতিক্রিয়া জেনেছে ইসরায়েল। এটি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া পরে জানানো হবে।
এদিকে যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন গাজার বাসিন্দারা। রাফার এক বাসিন্দা আল জাজিরাকে বলেন, আশা করি আল্লাহ এটি সহজ করবেন। আমরা আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় নিহত ১৯
অপর এক ফিলিস্তিনি বলেন, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং গাজার পাশে আছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীনতা পেতে চাই। পশ্চিম তীরে আগ্রাসন বন্ধ চাই। আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই। শুধু সামরিক সমাধান নয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল, যা এখন পর্যন্ত তারা অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: আল জাজিরা
সান নিউজ/এনজে