আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল জান্তা সৈন্যদের সাথে পাল্টা অভিযানের মুখে থাইল্যান্ড সীমান্তের একটি শহর থেকে নিজ সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) নামের ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা চলতি মাসে থাই সীমান্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহরটির দখলে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন : ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমারের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কেএনইউর একজন মুখপাত্র জানান, কারেন ন্যাশনাল আর্মি থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াবতী শহর থেকে ‘‘অস্থায়ী পশ্চাদপসরণ’’ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই শহরটিতে জান্তা সৈন্যরা ফিরে আসায় পিছু হটেছে কেএনইউ সদস্যরা। শহরটিতে প্রতি বছর এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হয়।
এদিকে, বুধবার থাইল্যান্ড সরকার জানান, সীমান্তে মিয়ানমারের জান্তা সৈন্যদের সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ কিছুটা কমেছে। এই সংঘাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়া হবে বলে, আশা করছে দেশটি। থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিক মায়াবতী শহর থেকে নিজ দেশে ফিরেছেন। তবে এখনও সেখানে প্রায় ৬৫০ থাই নাগরিক আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।
আরও পড়ুন : আ’লীগের ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয় আছে
থাই সরকারের মুখপাত্র নিকোরনদেজ বালানকুরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি ঘটেছে। এছাড়াও আমরা সীমান্তের পরিস্থিতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি যা অত্যন্ত অনিশ্চিত। তবে যেকোনও সময় এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমারে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে থাইল্যান্ডের কাছে এই তথ্য আছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
সান নিউজ/এমএইচ/এএ