আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবারই প্রথম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা দিলো বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন : রাফাহতে বিমান হামলায় নিহত ১০
টাইমস অব ইসরায়েল ও হারেৎজ সংবাদমাধ্যম জানায়, ‘নেৎজাহ ইহুদা’ নামক পদাতিক ব্যাটালিয়নটি অতীতে ডানপন্থি সন্ত্রাস ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে বিতর্ক রয়েছে।
২০২২ সালে ৭৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক ওমর আসাদের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ব্যাটালিয়নের সেনাদের হাতে আটক থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তিনি হাতকড়া পরা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন।
আরও পড়ুন : মধ্য আফ্রিকায় যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত ৫৮
রোববার (২১ এপ্রিল) মার্কিন সিনেটে ইসরায়েলের জন্য একটি বড় সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে ব্যাপক বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেন, আইডিএফকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত নয়। আমি বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আমার কথোপকথনসহ ইসরায়েলি নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কাজ করছি।
আরও পড়ুন : ফের হামলা চালালে মূল্য দিতে হবে
‘একটা সময় আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আইডিএফের এমন একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ও তার উদ্দেশ্য পুরোপুরি অযৌক্তিক। আমরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।’
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞার খবরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রীরাও। ইসরায়েলে যুদ্ধসংক্রান্ত মন্ত্রিসভার মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেন, পদাতিক ইউনিট আইডিএফের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি সামরিক ও আন্তর্জাতিক আইনেই পরিচালিত। ইসরায়েলের শক্তিশালী ও স্বাধীন আদালত রয়েছে। আদালত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন : প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটিকে পশ্চিম তীরের বাইরে সরিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর থেকেই উত্তর ইসরায়েলে কাজ করেছে ইউনিটটি। হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে গাজা উপত্যকায়ও মোতায়েন করা হয়েছে এটিকে।
সান নিউজ/এমআর