আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং এটির ২৩ নাবিক। মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পর গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) নাবিকরা মুক্তি পান। জলদস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি জাহাজটির মালিক ও বাংলাদেশ সরকারের কেউ।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তবে সোমালি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া এবং ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, যেসব জলদস্যু বাংলাদেশি জাহাজটি জব্দ করেছিল তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার সমান।
ডেইলি সোমালিয়া বলেছে, অর্থ পাওয়ার পর কিছু জলদস্যু স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুটল্যান্ডের উপকূলে পালিয়ে গেছে। এখন এই দস্যুদের ধরতে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন : আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে হামলা হতো না
আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে দস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ে সক্ষম হয়েছে। তাই অন্যান্য দস্যুরাও জাহাজ জব্দ করার মিশনে নামতে পারে।
বৃটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সও জানায়, জলদস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়েই বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে। তারা দুই দস্যুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছে। দস্যুরা তাদের জানিয়েছে, দুই দিন আগেই মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপর অর্থগুলো আসল নাকি নকল ছিল সেটি যাচাই করা শুরু করে তারা। এরপর অর্থগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে তারা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলা
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটির মালিক কবির রি রোলিং মিলস। ওই সময় জাহাজটিতে ২৩ নাবিক ছিলেন।
সান নিউজ/এমআর