আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০২০ সাল যেন আমেরিকার জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে করোনায় বিধ্বস্ত সারা দেশ, এর মধ্যেই গত একমাস ধরে পুড়ছে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য। তার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হ্যারিকেন স্যালির আঘাতে লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য।
তবে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ক্যালিফোর্নিয়ায় সৃষ্ট দাবানল। একমাসেরও বেশি সময় ধরে দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন আর ওরেগন অঙ্গরাজ্যের বহু কাউন্টি। লোকালয় আর বনভূমির ৫ লাখ একরের বেশি পুড়ে গেছে এরই মধ্যে। প্রায় দুই হাজার বাড়ি-ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য অবকাঠামো। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রতিনিয়তই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলেছেন বাসিন্দারা।
দাবানলে নতুন করে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকারী দল। এর পাশাপাশি অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে দিনরাত কাজ করে চলেছেন দমকল বাহিনীর প্রায় দুই হাজার কর্মী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ক্যালিফোর্নিয়ায় বছরের এই সময়টায় দাবানল আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু এযাবৎকালে এরকম আগুন কখনোই দেখিনি। এ ভয়াবহতা বর্ণনা করা যাবে না। প্রকৃতি শান্ত হোক, শুধু এই প্রার্থনা করি।
দাবানলের কালো ধোঁয়ার জন্ম দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে নিউইয়র্ক আর ইউরোপের বেশ কিছু অংশে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। হাঁপানি আর শ্বাসকষ্টের মতো রোগে ভুগতে শুরু করেছেন অনেকেই।
আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি-ঘর সবকিছুই আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমি অ্যাজমার রোগী। এ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপরই ছটফট করছি। বৃষ্টি না হলে দাবানল পুরোপুরি নেভানো যাবে না বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’
সান নিউজ/ বিএম/ এআর