আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদো’র একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক শাসন বিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ঐক্যমঞ্চ পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ)।
আরও পড়ুন : ভারতে কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৫
দেশটির জান্তাবিরোধী গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ) এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়, নেইপিদো মিয়ানমার বিমান বাহিনীর হেড কোয়ার্টার ও ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরকবাহী ২৯টি ড্রোন পাঠিয়ে চলানো হয়েছে এই হামলা।
আরও পড়ুন : খরায় জিম্বাবুয়েতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা
‘নেইপিদোতে বিমান বাহিনীর হেডকেয়ার্টার ও আলার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে একসঙ্গে ২৫টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন পাঠানো হয়েছে,’ বিবৃতিতে বলেছে নাগ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জান্তা বাহিনীর মুখাপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিবিসি, রয়টার্স ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো, কিন্তু কোনো মুখপাত্র কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন সামরিক কর্মকর্তা বিবিসি বার্মিজের কাছে হামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৭ টি ড্রোনকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে সেনারা, আর একটি ড্রোন আঘাত হানার আগেই বিমান ঘাঁটির রানওয়েতে আছড়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো জাপান
মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ হামলার কোনো সংবাদ এখনও প্রচার করা হয়নি। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমগুলো অবশ্য হামলার সংবাদ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে তৎকালীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে প্রথমবার জাতীয় ক্ষমতা দখল করেছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দেশটিতে সামরিক বাহিনীবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর উত্থানও ঘটে ওই সময়ে থেকেই।
আরও পড়ুন : গাজায় নিহত ৩৩ হাজার ছুঁই ছুঁই
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৬২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও তাদের স্থাপনাকে লক্ষ্য করে যত হামলা ঘটেছে, সেসবের মধ্যে বৃহস্পতিবারের হামলাটি সবচেয়ে বড়। নাগ জোটের নেইপিতৌ শাখার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জোটের প্রতিরক্ষা বিভাগের নির্দেশে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এই হামলা চালিয়েছে।
মিয়ানমারে বর্তমানে জান্তাবিরোধী যত সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে, সেগুলোর ঐক্যমঞ্চের নাম পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স।
সান নিউজ/এমআর