আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরা নিষিদ্ধে আইন পাস করেছে রাষ্ট্রটির আইনসভা নেসেট।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল
সোমবার (১ এপ্রিল) ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে এই আইন পাস হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতাহিয়াহু আইনটি পাস করার জন্য নেসেটে আহ্বান জানান। পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে মোট ৭০-১০ ভোটে এ আইনটি পাস হয়েছে।
আইনটি পাসের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলে আল-জাজিরা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’- এক পোস্টে লেখেন, ‘আল জাজিরা ইসরায়েলের নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে, ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ও ইসরায়েলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী দ্রুত এই চ্যানেলের কার্যক্রম বন্ধের পদক্ষেপ নেব।’
আরও পড়ুন: জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প
কাতারভিত্তিক সংবাদ নেটওয়ার্কটি এটিকে ‘অপবাদমূলক অভিযোগ’ হিসাবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ও নেতানিয়াহুকে ‘উস্কানি’ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের অপবাদমূলক অভিযোগ আমাদেরকে সাহসী ও পেশাদার কভারেজ চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে না। আল জাজিরা মিথ্য অভিযোগটির বিরুদ্ধ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।’
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে আল জাজিরা বন্ধের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়ের গত সোমবার সাংবাদিকদের জানান, “আল জাজিরা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলি পদক্ষেপ ‘উদ্বেগজনক’ হবে।”
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন নেতানিয়াহু
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সমর্থন করে ও এর মধ্যে যারা গাজায় সংঘাতের রিপোর্ট করছেন তারাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা দ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, ইসরায়েলের নতুন আইন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। এটি সংবাদপত্রের প্রতি স্ব-সেন্সরশিপ ও শত্রুতার পরিবেশে অবদান রাখে, একটি প্রবণতা যা ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সান নিউজ/এএ