ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি ও লার্নিং শেয়ারিং বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু।
এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক তাপস কুমার শীল ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক ইকবাল হোসেন। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র প্রজেক্ট ম্যানেজার নাসরিন নাহার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আমদানির খবরে অর্ধেকে নামল পেঁয়াজের দাম
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএইচডি’র সহকারী পরিচালক আবুল কালম আজাদ ও মূল বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন বলেন, এ প্রকল্পটি সরকারী, বেসরকারী ও স্থানীয় সরকারের তত্বাবধানে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ২টি ও মনপুরা উপজেলার ২টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রকল্পটি ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত চলমান থাকবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৭ হাজার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০০ নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২
গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চা প্রসবে পিএইচডি পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নরমাল বাচ্চা ডেলিভারি হচ্ছে এবং গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, যা সরাসরি চরফ্যাশন ও মনপুরার বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রভাব ফেলেছে।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দুটির সেবা কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে সরকারী হস্তক্ষেপের কথা জানান বক্তারা। স্থানীয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তি উদ্যোগে এ কেন্দ্রটি পরিচালনা করা সম্ভব কিনা সেটিও জানান তারা।
আরও পড়ুন: ১৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, পার্টনার্স ইন হেলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সংবাদকর্মীরা।
উল্লেখ্য, দ্যা সুইডিশ পোস্টকোড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’র সহযোগিতায় এবং পার্টনার্স ইন হেলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি)’র বাস্তবায়নে “মিডওয়াইফ পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা” প্রকল্পের মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচর ও কুকরি-মুকরি ইউনিয়নসহ মনপুরা উপজেলার একাধিক চরে হাজারো নারীদের সন্তান প্রসবসহ মাতৃত্বকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে