নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. আকতার হোসেন, মো. ইফতেখায়রুল মামুন, মো. দিদারুল ইসলাম, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. জসীমউদ্দিন প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর যখন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু হলো, তখন এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংকট দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশ ও দশের স্বার্থে আমরা মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা স্বেচ্ছায় করোনার নমুনা সংগ্রহে আত্মনিয়োগ করি। এই কাজে আমাদের ছিলো না কোনো টিএ-ডিএ, ছিলো না কোনো বেতন-ভাতা। আমরা নিজেদের খরচে এসব কাজ করেছি। যারা পিসিআর ল্যাবে কাজ করেছেন, তারা সাতদিন কাজ করার পর চৌদ্দ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকেছেন। কিন্তু আমরা তাও থাকতে পারিনি।’
‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে স্বেচ্ছাসেবী এ সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অবদানে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে পর পর দুই ধাপে বেশ কিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হলেও ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবী এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা এখনো অবহেলিত রয়েছেন। আমাদের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিললেন, তারা তখন সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই কোনো ধরনের প্রনোদণা পাননি। পক্ষান্তরে সরকারি কোনো কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হলে তারা সরকারি সকল সুবিধা পেয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা সকল সুবিধা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা কেন এতো অবহেলিত থাকবো? করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত থাকায় আমাদেরকে কোনো ক্লিনিক চাকরি দিচ্ছে না। যারা আগে সংসারের ব্যয় বহন করতেন, তারাই এখন সংসারের বোঝা হয়ে গেছেন। আমাদের এখন বেচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। আজ যদি সরকার এ সকল স্বেচ্ছাসেবীদের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় ভাবে না নেয়, তাহলে আমাদের দুঃখ-কষ্টের কোনো সীমা থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, তিনি যে আশ্বাস দিয়েছেন,তা যেন অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করে স্বেচ্ছাসেবী এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সুন্দরভাবে বাঁচতে সাহায্য করেন।’
সান নিউজ/ এআর