আদিল হোসেন তপু, ভোলা: ভোলায় ২ মাস ধরে নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকাসহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিনই অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকাকেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময় টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। যা নিয়ে ক্ষোভ ঝড়ছে তাদের কন্ঠে।
আরও পড়ুন: কাল থেকে হতে পারে বৃষ্টি
টিকার জন্য ঢাকায় চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
মিজি বাড়ি থেকে টিকা নিতে আসা অভিভাবক নাহিদা লায়লা নাসরিন ও ফাতেমা জানান, শিশুর টিকার জন্য এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্র ছুটছেন সন্তানের বাবা-মা। এরপরও মিলছে না টিকা। তাই ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে।
দুই মাস ধরে ভোলায় নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকাসহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট তারিখে শিশুদের টিকা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রে থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালেও মিলছে না এই টিকা।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
আকলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের ৩টি টিকা দেওয়া হয়েছে। ৪র্থ ধাপের টিকার জন্য স্থানীয় স্যাটেলাইট ক্লিনিকে গেলেও টিকা মেলেনি। পরে হাসপাতালে এসেছি। সেখানেও নেই। এতে আমরা খুব চিন্তার মধ্যে আছি। সঠিক সময়ে যদি টিকা না দিতে পারি তাহলে দুচিন্তার শেষ নেই।
ফলে শিশুদের সময় অনুযায়ী টিকাগুলো দেয়া যাচ্ছে না। এতে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে অভিভাবকদের। তাই দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করার দাবি তাদের।
স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা জান্নাতুল নাঈম ও মো. হোসেন জানান, শিশুদের পিসিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট এই ৩ টি ভ্যাকসিন না থাকায় শিশুদের নিয়মিত টিকা দিতে পারছে না। এতে করে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তানবীরকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চায় ভালুকাবাসী
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান আহমেদ জানান, টিকার জন্য আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি, যেন দ্রুত টিকা আসে। তবে টিকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তা শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভোলা জেলায় এক বছরে ৬৪ হাজার শিশুকে টিকা দিতে হয়। জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি টিকা কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেয়া হয়।
এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেয়া হয়। বর্তমানে ১০টি রোগের টিকার মধ্যে ৩টি মজুদ রয়েছে।
সান নিউজ/এনজে