আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উন্নত বিশ্বের অত্যাধুনিক সকল চিকিৎসা বিজ্ঞান কিংবা সর্বোচ্চ জনসচেতনতা, কিছুতেই রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না করোনা মহামারির। পৃথিবী জুড়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৭৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৪। এর মধ্যে আট লাখ ৯৬ হাজার ৮৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ৯৫ লাখ ৮৭ হাজার ১২৫ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনও দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপে একটানা তাণ্ডব চালিয়ে সাময়িক বিরতিতে ছিল সংক্রমণ। তবে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৫। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৪ জনের।
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৪ জন। এর মধ্যে ৭২ হাজার ৭১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৪ জন। এর মধ্যে এক লাখ ২৭ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহামারির উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনো মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশেষ করে যেসব তরুণের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পরও উপসর্গ থাকে না, তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য বেশি হুমকি তৈরি করছে। ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক তাকেশি কাসাই এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন।