নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: করোনা আক্রান্ত হয়ে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) পৃথক পৃথক সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
করোনায় মৃতরা হলেন, স্মৃতি দাস (৫০), তালহা (১১), জান্নাত আলী (৮৫), আব্দুল গফুর (৭০), নজরুল ইসলাম (৩৮) ও সাজেদা মোরশেদ (৮২)।
খুলনা করোনা ডেডিকেটিড হাসপাতালের সমন্বয়ক শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, মারা যাওয়া পাঁচজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনার করোনা ডেডিকেটিড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সোমবার দুপুর তিনটার দিকে মারা যাওয়া তালহা খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ছোট বয়রা শ্মশানঘাট এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তালহা গত ২৬ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়। রূপসা উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল গফুর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান। তিনি শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ভর্তি হয়েছিলেন। বিকাল পৌনে পাঁচটায় মারা যাওয়া স্মৃতি দাস বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার যাত্রাপুরের তপন দাসের স্ত্রী। গত ২৫ আগস্ট ভর্তি হন তিনি। যশোরের র্শাশা উপজেলার টেংরা এলাকার জান্নাত আলী মারা যান বিকাল পাঁচটার দিকে। তিনি রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) ভর্তি হয়েছিলেন। সাজেদা মোরশেদ সন্ধ্যা সাতটা ৫ মিনিটে মারা যান। খুলনা সদর থানার নিরালা আবাসিক এলাকার মেজবাউল ওসমানের স্ত্রী সাজেদা গত ২৭ আগস্ট ভর্তি হয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর–শ্বাসকষ্ট নিয়ে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সার্ভেয়ারের মো. নজরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার উত্তর নামাজপুর গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।