ভোলা সংবাদদাতা: ভোলার মনপুরার মহিষের কাঁচা দুধের সুস্বাদু টক দইয়ের খ্যাতি দেশজুড়ে। এ দই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক লোকজন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শৈত্যপ্রবাহ
এর মধ্যে ২৭ জনের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালিদ হাসান তামিম।
গতকাল রাত থেকে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা পর্যন্ত দই খেয়ে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। এছাড়া প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সড়কে ঝড়ল ৪৬৭ প্রাণ
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালিদ হাসান তানিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম ও ওসি মো. জহিরুল ইসলাম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, মহিদুল ইসলাম, খাদিজা, ছামিউল, মাইসা, ছাওদা, ফারহানা, ইয়ামিন, আমেনা, ছালেকা খাতুন, জুমুর, ছুমাইয়া, রকি, আলাউদ্দিন, আফিফা, রিয়াজ, অফি, রিক্তা, হান্নান, নুশরাত, ময়ফুল, জহীর, মুজাহিদুল ইসলাম, রাশেদ, তানিয়া, তাহমিনা, মিষ্টি ও মনির।
আরও পড়ুন: হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
এছাড়া বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন- যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মামুন, ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন মাতাব্বর, সাখাওয়াত, হোসেন, আলাউদ্দিন, খোকন, শামীম, খোরশেদ, রাসেল, সুমন, সাহাবুদ্দিনসহ অনেকে। এদের সবার বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে টক দই খাওয়ার পরই পেটে ভীষণ ব্যথা শুরু হয়। পরে ডায়রিয়া শুরুর পাশপাশি প্রচন্ড জ্বর অনুভুত হয়। তখন হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকরা ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়।
মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খালিদ হাসান তামিম জানান, টক দইয়ের মধ্যে বিষাক্ত জীবানু ছিল। সেই বিষাক্ত জীবানু মিশ্রিত দই খেয়ে সবার ডায়রিয়া ও জ্বর হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় নিহত ২
যাদের অবস্থা খারাপ ছিল, সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই, অসুস্থ সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনে রাতে হাসপাতালে রোগী দেখতে যাই। অসুস্থ্য সবাই টক দই খেয়ে এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছে। টক দই কারিগরদের ডেকে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, আজ সকালে টক দই খেয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে দেখতে যাই। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সান নিউজ/এনজে