নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলা: ‘প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে তথ্য ও পরিসেবা’ বিষয়ক কর্মশালার বক্তারা বলেছেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে লজ্জা নয়, বরং সচেতন হওয়া জরুরি। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের সঠিক ধারণা দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে কিশোর-কিশোরীদের বয়:সন্ধিকালীন সকল স্বাস্থ্যসেবা সহজ করা ও কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে সেবাদানকারীদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। নারীপক্ষের ‘তারুণ্যের কন্ঠস্বর’ এর আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহামুদুল হক আযাদের সভাপত্বিতে কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন নারীপক্ষের প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরীন। আলোচনায় অংশ নেয় ডা. পারভীন আক্তার, ডা. আফরোজা বেগম, ধনিয়া ইউনিয়নের সেকমো সোনালি রানী, পূর্ব ইলিশার এফপিআই সমসের আলী, এফডব্লিউবি জান্নাতুল ফেরদাউস, নুরে নাজমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘তারুণ্যের কন্ঠস্বর’- এর ভোলা জেলা সমন্বয়কারী আদিল হোসেন তপু ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২৩ শতাংশই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। কোনো ধরনের প্রস্তুতি এবং প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান ছাড়াই তাদের এক বিরাট অংশ কৈশোরকালেই বিয়ে, গর্ভধারণ এবং অল্প বয়সেই মা হচ্ছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অসচেতনতায় তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ নারীর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অথচ অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীর মাঝে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও উপলব্ধি না থাকায় কিশোরী মাতৃত্বহার বাড়ছে।
তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে লজ্জা নয়, বরং সচেতন হওয়া জরুরি বলে বক্তারা মনে করেন।
ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবার মান আরো বাড়িয়ে কৈশোরবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সামাজিক সচেতনতা ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের কিশোর-কিশোরী দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ, সুন্দর ও নিরোগ জীবনের জন্য আমাদের সঠিকভাবে যত্নশীল হতে হবে। তাহলেই আগামীর ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।’
সান নিউজ/ এআর