এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত, খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এর কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা
১৬ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ৭ টি কেন্দ্রই সপ্তাহের ১ দিন ব্যাতিরেকে থাকছে নিয়মিত বন্ধ। গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা মিলছে সপ্তাহে ১ দিন সেবা, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাহত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নেই কোন নজরধারী। কোনমতে দিন পার করে শেষ হচ্ছে মাস, এভাবেই বছরের পর বছর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপকূলীয় মোরেলগঞ্জ উপজেলার এ গ্রামীণ জনপদের প্রায় ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১৬ টি ইউনিয়নে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আওতাধীন ১৬ টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ ঢাকা চতুর্থ
এসব কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে দেয়া হয় স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, ১ জন আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী থাকার কথা থাকলেও কোনো কোনো কেন্দ্রে শুধুমাত্র ১ জন নিরাপত্তা প্রহরী পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্রগুলো। সপ্তাহে একদিন খোলা হচ্ছে মূল ফটক।
সপ্তাহে ৫ দিন বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- চিংড়াখালী, পঞ্চকরণ, নিশানবাড়িয়া, হোগলাপাশা, তেলিগাতী, ঢুলিগাতি ও জিউধরা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯
কোনো কোনো কেন্দ্রে সপ্তাহের বৃহস্পতি ও বুধ এবং কোথাও কেবল রোববার, ১ দিন খুলছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা একাধিক কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বা ১ জন পরিদর্শিকা।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৬ টি কেন্দ্রে ১৬ জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার স্থলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৫ জন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ২২ জনের পরিবর্তে রয়েছেন ১০ জন।
আরও পড়ুন: সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল মুন্সী আর নেই
দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে এ পদগুলো শূন্য থাকায় একাধিক কল্যাণ কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে অনেকেই। ফলে মূল কেন্দ্রের কর্মরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারের কার্যক্রমের উপর পড়ছে এর প্রভাব।
এরকম দেখা গেছে হোগলাপাশা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে। মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের অনেকে ফিরে যাচ্ছে।
তবে কোথাও সাটানো নেই নোটিশ। বন্ধ থাকবে কদিন বা খোলা থাকবে কবে নাগাদ। নিরাপত্তা প্রহরীও রয়েছেন বাইরে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে যাত্রীর ঢল
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ কেন্দ্রটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে। পাশ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর থেকে সপ্তাহে একদিন একজন এসে খুলে কিছু সময় রোগী দেখে চলে যান।
এ সর্ম্পকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেক বলেন, দীর্ঘদিন জনবল সংকট থাকার কারণে এবং মাঠ পর্যায়ে ৭ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রে উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার না থাকায় বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা থেকে যাচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়ে একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের জন্য কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সান নিউজ/এনজে