নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র্যাপিড কিটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা আলোচনা সমালোচনায় উঠে এসেছে ড. বিজন কুমার শীলের নাম। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মানুষের নানা মত থাকলেও, এবার নতুন এক বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি।
এবার নাগরিকত্ব জটিলতায় পড়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি।
এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ উদ্ভাবক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল গণমাধ্যমকে জানান, ‘বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাবো’।
রোববার (৩০ আগস্ট) এ কথা বলেন ড. বিজন কুমার শীল।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যদি মনে করেন, আমি তাদের কোনো উপকারে আসিনি, তবে আমি সিঙ্গাপুরে চলে যাবো। এতে কোনো সমস্যা নেই আমার। আর দেশের মানুষ যদি চান, আমি তাদের পাশে থাকি তবে এখানে থাকার চেষ্টা করবো। সরকারও আমাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য।’
ড. বিজন কুমার শীলের জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি এখন এ দেশের নাগরিক নন। তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের সময় নিয়ম অনুসারে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে ওই দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। যে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো আবেদন জমা দিয়েছে গণবিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বে গবেষক ও অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে সুপরিচিত ড. বিজন কুমার শীল। ১৯৬১ সালে নাটোরের এক কৃষক পরিবারে জন্ম হয় এই বিজ্ঞানীর।
সান নিউজ/ এআর