জেলা প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনই শিশু। এরা সবাই উপজেলার ওলামা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ২৪৯৫
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথ্য মতে, উপজেলার চর চান্দিয়া, চর সাহাভিকারী, সুজাপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির সাথে হঠাৎ করে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
শনিবার একদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২২ রোগী। অন্যরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ৫ দিনে কুকুর, বিড়াল ও ইঁদুরে কামড়ে আহত হয়ে মোট ৪০ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ
আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরের কামড়ে হওয়া র্যাবিস রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওলামা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, শনিবার বিদ্যালয়ে শেখ কামালের জন্মদিনের অনুষ্ঠান সময় কিছু শিক্ষার্থী পাশেই খেলা করছিল।
হঠাৎ করে একটি পাগলা কুকুর তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের অন্তত ৪-৫ শিক্ষার্থীকে কামড়ে আহত করে। একই কুকুর বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে বাজারে আরও ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষার্থী ও পথচারীকে কামড়ে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ৭২ জনের শনাক্ত
নাছির উদ্দিন নামে একজন অভিভাবক জানান, ওলামা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচে আমার মেয়ে সোহানা তাওবী (২) দাঁড়িয়ে চিপস খাচ্ছিল। সে সময় একটি কুকুর তাকে কামড়ে আহত করে। তাওবীকে বাঁচাতে গিয়ে আরও ২ ছেলে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে সুফিয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধা জানান, শনিবার বেলা ১১টার সময় মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওলামা বাজার এলাকায় আমার নাতি আশফাককে পাগলা কুকুর মুখে ও মাথায় কামড়ে আহত করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আবদুল কুদ্দুছ বলেন, গত কয়েক দিনে কুকুর, বিড়াল ও ইঁদুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৫৭
তাদের মধ্যে শনিবার কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ ২২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে আবার স্থানীয় ক্লিনিক থেকেও চিকিৎসা নিয়েছেন।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাস জানান, কুকুর, বিড়াল ও ইঁদুরের কামড়ে আহত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদের নিয়মিত ওষুধ ও টিকা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সান নিউজ/এমএ/এইচএন