এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি থেকে:
ঝালকাঠি শহরের সরকারি-বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল, বাজারসহ পাবলিক প্লেসে যারা চলাফেরা করেন, তাদের অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। মানছেন না নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি। প্রথম থেকে অধিকাংশ মানা হলেও করোনা দীর্ঘদিন স্থায়িত্ব থাকায় এখন আর তেমন কোনো আগ্রহ নেই। তারা অনেকটাই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাধ্য হয়েই এ স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছেন না।
অভ্যাস না থাকায় পাবলিক প্লেসে প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এর মধ্যে ৯৪ শতাংশ মানুষ নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কেউ বাধ্য হয়ে, আবার কেউ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মানছেন না। তবে খেটে খাওয়া মানুষ একেবারেই মানছেন না কোনো নিয়ম-নীতি। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে না।
শহরের প্রধান বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোনো দোকানদার মাস্ক ব্যবহার করছেন না। কোনে ক্রেতা তাদের মাস্ক পরতে বললে অনেক সময় ক্ষেপেও যান, এমন অভিযোগও রয়েছে। অনেকের থুতনির নিচে মাস্ক ঝুলানো দেখা গেছে। কেউ কেউ পকেটে ভাজ করে রেখেছেন।
প্রশাসন সঠিক তদারকি না করায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে আগ্রহী হচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়েই আগেই পেয়ে যান তারা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে খোলা ভ্যানে করে ফল বিক্রেতা আ. মালেক জানান, মাক্স সব সময় ব্যবহার করা যায় না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বলেই পকেট থেকে বের করে মুখে মাস্ক পরে নিলেন।
বাবু নামে আরেক দোকানদারের ছবি তুলতে গেলে দ্রুত মাস্ক পরতে দেখা যায়। পরে তিনি জানান, মাস্ক পরতে তার ভালো লাগে না।
একজন পথচারী প্রকাশ্যেই ধূমপান করছিলেন। তিনি বলেন, ‘কতো সময় আর মাস্ক মুখে পরে রাখা যায়?, তামাক ও পান খেতে মাস্ক খুলে পকেটে রেখেছি।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাছান বলেন, শহরে মাঝে মাঝেই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সান নিউজ/ এআর