নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোলা: ‘অধিকারভিত্তিক ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যুবদের সম্পৃক্ত করার বিকল্প নেই। করোনার মধ্যেও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা থেমে নেই। হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের যুবদের পাশাপাশি সবার জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের এখনই সময়।’
আন্তর্জাতিক যুব দিবসের অনলাইন সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ‘মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও আমার অধিকার’ শীর্ষক সংলাপটির আয়োজন করে বরিশাল বিভাগের যুবদের প্লাটফর্ম তারুণ্যের কন্ঠস্বর। উন্নয়ন সংস্থা নারীপক্ষের অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। সংলাপে বিভাগের অর্ধশত তরুণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকারের নানা উদ্যোগ চলমান। সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বরিশালের তরুণদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। শিক্ষার বিস্তার যতো বাড়বে, ততো বাল্যবিবাহ কমে যাবে। অসচেতনতা দূর করতে স্থানীয় সংগঠনগুলো নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
যুব সংগঠনগুলোর প্রশংসা করে তিনি বলেন, বরিশালে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে এক ধরনের সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে।
নারীপক্ষের প্রকল্প সমন্বয়কারী সামিয়া আফরিনের সঞ্চালনায় সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. হেমায়েত উদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেন বরিশাল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ভোলা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহমুদুল আযাদ, ঝালকাঠি জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পিয়ারা বেগম প্রমুখ।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারুণ্যের কন্ঠস্বর প্লাটফর্মের বিভাগীয় সমন্বয়কারী শাকিলা ইসলাম। যুবদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন প্লাটফর্মের বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী জুবায়ের ইসলাম, ভোলা জেলা সমন্বয়কারী আদিল হোসেন তপু,পটুয়াখালী জেলা সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম এবং ঝালকাঠি জেলা সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকারের অনেকগুলো প্রশংসনীয় উদ্যোগ রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা তৈরিই যথেষ্ট নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ও সেবা দানকারীদের জবাবদিহিতার মাধ্যমেই আইন ও নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব।
সান নিউজ/ এআর