এম.এ আজিজ রাসেল : গতকাল পর্যন্ত সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা পেতে রোগীরা। দুপুরের পর আর দেখা মিলতো না চিকিৎসকের। যার ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যেত হতাশা নিয়ে। তাই রোগীদের ভোগান্তি রোধে সরকার এবার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) থেকে দেশের ১২টি জেলার ৪০টি উপজেলার সরকারি হাসপাতালে চালু করা হয়েছে বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা সেবা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাধীনতার মাসে এই সেবা চালু হওয়ায় খুশী সাধারণ রোগী ও স্বজনেরা। রোগীদের অভিমত, "প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাসপাতালে এসে অনেক সময় দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যেত। এতে শত কষ্ট করে এসেও আর চিকিৎসকের দেখা মিলতো না। বৈকালিক এই প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্য সেবা চালু হওয়ায় রোগীদের দুর্ভোগ কমবে। পাশাপাশি টাকার অভাবে আর কাউকে ফিরে যেতে হবে না।"
আরও পড়ুন : আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোমিনুর রহমান বলেন, "এখন থেকে হাসপাতালে এসে আর কোন রোগীকে চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যেতে হবে না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরকারি দায়িত্ব পালন শেষে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিবে। এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত অধ্যাপক ৪০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক ২০০ টাকা ও এমবিবিএস ১৫০ টাকা করে ফিস পাবে। এছাড়া সার্জারী, সিজারসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যাবে স্বল্প দামে। যাতে হতদরিদ্র মানুষের কোন কষ্ট না হয়।"
আরও পড়ুন : বিশ্বে আরও ২৭৮ প্রাণহানি
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, "আগে বিকালে হাসপাতালে ডাক্তার না পেয়ে প্রাইভেট চেম্বারমুখী হতো রোগীরা। কিন্তু এখন এখানেই নামমাত্র ফি দিয়ে রোগীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ পুরো দেশের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। "
সান নিউজ/এইচএন