ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
রাশিয়া সরকার আগামীকাল বুধবার (১২ আগস্ট) বহুল প্রতীক্ষিত করোনার ভ্যাকসিন নথিভুক্ত করতে যাচ্ছে। দেশটির দাবি, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
তবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলো।
এদিকে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে রাশিয়ার গামালায়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট।
ইন্সটিটিউটের পরিচালক অ্যালেক্সেন্ডার গিন্টসবার্গ বলেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের ভিত্তিতে তৈরি নির্জীব কণা ব্যবহার হবে এই ভ্যাকসিনে। এটি নিয়ে যাই সমালোচনা হোক না কেন, এতে মানব শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না।
অ্যালেক্সেন্ডার গিন্টসবার্গ বক্তব্য অনুসারে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অনেকের জ্বর আসতে পারে। কারণ, শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এটি একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যদিও প্যারাসিটামল খেয়ে খুবই সহজে তার থেকে মুক্তি মিলবে।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ওলেগ গ্রিদনেভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপাতত তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে ভ্যাকসিনের। সেটিও শেষের পথে। তারপরই বাজারে এসে যাবে টিকা।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১২ আগস্ট সরকারিভাবে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। আর আগে শেষ মুহূর্তে দেখে নেওয়া হচ্ছে মানুষের শরীরে নিরাপদ কি না। সবার আগে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়ষ্কদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রথম মাসে এই টিকা প্রয়োগ করে দেখা হবে। বিপুল হাতে এই টিকা তৈরির কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে। এই বছরেই সাড়ে চার কোটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করা হবে।
তবে ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এর কার্যকারিতা কতোটা হবে, তাই নিয়ে সন্দেহে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। কিন্তু সব বিতর্ক এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন আসতে চলেছে রাশিয়ার হাতেই।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর