আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। রাজ্যটিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনা যেন থামছেই না।
আরও পড়ুন: সমস্যা ছাড়াই হয়েছে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা
গত ৮ মার্চ কলকাতা মেডিকেল কলেজে দুজন এবং বিধানচন্দ্র রায় (বি সি রায়) শিশু হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যটিতে গত দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে অন্তত ১১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
৮ মার্চ কলকাতা মেডিকেল কলেজে মারা যাওয়া দুই শিশুর মধ্যে একজন হাওড়ার উলবেড়িয়ার ও আরেকজন হুগলির মগরার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। দুই শিশুর বয়সই ৬ মাস।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত বুধবার কলকাতার বি সি রায় হাসপাতালে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্য। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চট্টোপাধ্যায় ও সুদেষ্ণা রায় বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালটিতে ছিলেন। পরে প্রতিটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করে তারা।
আরও পড়ুন: আন্তঃসীমান্ত তেল পাইপলাইন উদ্বোধন
কলকাতা শহর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বেড়ে চলেছে অ্যাডিনোভাইরাস ও নিউমোনিয়ার দাপট। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের অসুখে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগই মারা গেছে বি সি রায় শিশু হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিকেল কলেজে। মৃত শিশুদের প্রত্যেকেই শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাইকে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। সব ক্লিনিক ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হলেন জিনপিং
কোনো হাসপাতালে যেন অক্সিজেনের অভাব না থাকে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সরকারের সদর দপ্তর ‘নবান্ন’ থেকে ১০ দফার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে।
শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ক্লিনিকগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া যেসব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শিশু বিভাগ রয়েছে, সেখানে আলাদাভাবে আউটডোর খোলা রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে