ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি জেলায় একলাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। ভিটামিন 'এ' খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান- এই স্লোগানে সারাদেশের মতো ঝালকাঠিতেও আগামী সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন।
আরও পড়ুন : সড়কে প্রাণ গেল চীনা নাগরিকের
এবছর জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১৩ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮৭ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচ.এম. জহিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গনমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠির ৪টি উপজেলার ৩২ টি ইউনিয়ন আর দুইটি পৌরসভায় একযোগে ৮২৪ টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে। এর বাইরেও জেলায় আরও ৬টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র থাকবে।
আরও পড়ুন : সুন্দরবনে ১০ পর্যটক উদ্ধার
এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৬৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী সহ আরও ৩৬৬ জন মাঠকর্মী নিয়োজিত থাকবেন। ঐদিন সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
কোনো শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেওয়া হয়। এছাড়াও ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যেকোনো টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।
ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। এ কর্মসূচি সফল করতে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভাড়াটিয়া সেজে স্বর্ণ-টাকা চুরি
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচ.এম জহিরুল ইসলাম বলেন, 'ভিটামিন 'এ' শুধু অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা দূর করে। শিশু মৃত্যুর হার কমায়।' শিশু মৃত্যুরোধে জন্মের পর নবজাতককে কেবল মায়ের শালদুধ পান করানোর পরামর্শ দেন। এছাড়া শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন জেলার এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী খলুলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়, মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম রেজাউল করিম ও ডিবিসি নিউজ প্রতিনিধি অলোক সাহা।
সান নিউজ/এইচএন