নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ৮ ঘন্টায় এক ইউপি মেম্বারসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
বাকি চারজনের করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টা ৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিটের মধ্যে তারা মারা যান।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত পাঁচজনের মধ্যে ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া করোনা আক্রন্ত ছিলেন। বাকি চারজনের মধ্যে দুইজনের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অন্য দুইজনের রিপোর্ট আসায় অপেক্ষায় রয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় করেনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া (৫০)। তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত ৩০ জুলাই রাত পৌনে ১০টায় উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বরগুনা সদর উপজেলার মোশারেফ হোসেনকে (৭০)। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বরিশাল সদর উপজেলার চণ্ডিপুর এলাকায় কুলসুম বেগমকে (৭৫) উপসর্গ নিয়ে গত ১ আগস্ট দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সময়ে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তাদের দুজনেরই নমুনা পরীক্ষা করা হলে রির্পোট নেগেটিভ আসে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠী জেলা শহরের বাহের রোড এলাকার লাভলী আক্তার (৩২) ও দুপুর ২টায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কররিরা এলাকার আব্দুল খালেককে (৬৭) উপর্সগ নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ও বিকেল চারটায় তাদের মৃত্যু হয়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
সান নিউজ/ এআর