সান নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৫১৩ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন এক হাজার ৯৪ জন।
আরও পড়ুন: পাতাল রেল নির্মাণ কাজ উদ্বোধন ১১টায়
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে মহামারি শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৭৩ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭০ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় জাপানের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির এ তালিকায় এরপর রয়েছে ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ফ্রান্স, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, ফিলিপাইন ও হাঙ্গেরির মতো দেশগুলো।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ বিএনপির বড় ভুল সুষ্ঠু উপনির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে
দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষে থাকা জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৩০৮ জন। মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪২ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ হাজার ৩৯৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৮ জন এবং মারা গেছেন ২২১ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১০ কোটি ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ফের হামলা করতে পারে রাশিয়া
শনাক্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬৩ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ জন।
ফ্রান্সে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৫০৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৯৫ লাখ ২৮ হাজার ৮১৭ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সান নিউজ/এসআই