আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে তিন লাখ ১১ হাজার ৩৯৯ জন রোগী নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ১৫ হাজার ৮৬৫ জন।
আরও পড়ুন : পোশাকহীন ছবি তুললেন হাজারও মানুষ!
বিশ্বে এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৪ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৪ জন। আর ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ১৯ হাজার ৪২ জন সুস্থ হয়েছেন।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপান গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে শীর্ষে। দেশটিতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে একদিনে মারা গেছেন ১৬৪ জন। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৩২৭ জন রোগী।
আরও পড়ুন : এশিয়ার শীর্ষ নারী উদ্যোক্তাদের তালিকায় ক্রিস্টি ক্যার
এ নিয়ে জাপানে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ৮১ জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৯ হাজার ৩৬ জন।
দক্ষিণ কোরিয়া দৈনিক শনাক্তের হিসাবে জাপানের পরই রয়েছে। দেশটিতে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৬৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন।
এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো দুই কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ৪৮৮ জন এবং মৃত বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ হাজার ৩৩০ জন।
আরও পড়ুন : মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ২৩
মহামারি করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আটজন। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৩৬ জন। এ নিয়ে করোনায় শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ১০ কোটি চার লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৯ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয় হাজার ৮৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাজিলে ৪৫ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৩৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও দুই জনের মৃত্যু
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইন্দোনেশিয়ায় ৪১ জন, তাইওয়ানে ২৯ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১০ জন, চিলিতে ২৫ জন, পোল্যান্ডে আটজন, ফিলিপাইনে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সান নিউজ/এইচএন