সান নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে শীর্ষে ছিল জাপান; আর এই দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। জাপানে নতুন করে এক লাখ দুই হাজার ৮২৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে মারা গেছেন ৮৮ জন।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ডে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, নিহত ২
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৯৭ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ১০ লাখ আট হাজার ১৮১ জনে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬২ কোটি ছয় লাখ ৯২ হাজার ৯৬৯ জন।
অন্যদিকে, একই দিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডজনিত অসুস্থতায় এসময়ে মারা গেছেন ১৬৪ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৭হাজার ৯৭২ জন।
মৃত্যুর হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১১০ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৭১ জন। এ নিয়ে ফ্রান্সে শনাক্ত রোগী বেড়ে হয়েছে তিন কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ১৬১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ৯৩১ জন। সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৫ জন।
আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে হবে’
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮২ জন। মারা গেছেন ২৪ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮৫ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৮৮ হাজার ৭৭০ জন।
রাশিয়ায় একদিনে মারা গেছেন ৬৪ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৪৩১ জন। এ নিয়ে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৫ লাখ আট হাজার ৯৬১ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ লাখ ৯১ হাজার ১৪৯ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৯ জন, তাইওয়ানে ৪৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪১ জন, পোল্যান্ডে ১৭ জন, মেক্সিকোতে ১৪ জন, মালয়েশিয়ায় ১২ জন, চিলিতে ১৩ জন, ফিলিপাইনে ১৫ জন, হংকংয়ে ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কারচুপি করলে কঠোর ব্যবস্থা
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সান নিউজ/ এসআই