নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭) জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ড ও খুলনা করোনা হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার ল্যাবে আরও ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন করোনা রোগী বাবর খানের (৫৫) নামে মৃত্যু হয়েছে। তিনি নগরীর টুটপাড়া তালতলা হাসপাতাল রোড এলাকার আমির হামজা খানের ছেলে। গত শনিবার (২৫ জুলাই) রাতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রামনগর এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে শেখ আবুল বাশার (৮৫), খুলনার পাইকগাছার কড়াইকাঠি এলাকার মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে আকবর (৭০), বাগেরহাটের কাড়াপাড়া এলাকার মৃত কোনাউদ্দিনের ছেলে আ. রহমান (৮০) ও নগরীর আড়ংঘাটা থানার সলুয়া বাজার এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান (৭৮)।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের ফোকালপার্সন ডা. মিজানুর রহমান জানান, ১৮ জুলাই দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সাতক্ষীরার শেখ আবুল বাশার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পাইকগাছার আকবর ২৫ জুলাই রাত পৌনে ১০টা থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ২টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। জ্বর শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে রোববার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বাগেরহাটের আ. রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভর্তি হয়েছিলেন আড়ংঘাটার আসাদুজ্জামান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। মৃতরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ৮০ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। সোমবার তাদের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে সোমবার মোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ১৮৪টি। এদের মধ্যে মোট ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যাদের মধ্যে খুলনার ৪৬ জন, সাতক্ষীরার ২০ জন, বাগেরহাটের আটজন, নড়াইলের তিনজন, যশোরের একজন ও ঝিনাইদহের দুইজন।
সান নিউজ/ এআর