নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রথম মৃত্যুর পরে দান করা শরীর থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি, ২০২০) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মরণোত্তর দেহদান ও সংযোজন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কিডনি ফাউন্ডেশন, সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন, ইউরোলজি অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, অনেক পরে হলেও মরণোত্তর দেহদান বিষয়ক আইন প্রণয়নের করেছে সরকার। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি রয়েছে। তাদের সচেতন করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সমজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরহিতরা কাজ করতে পারেন।
এসময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন, বাংলাদেশে এখনও মৃত্যুর পর দান করা শরীর থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মানুষের আগ্রহও কম। তাই এ বিষয়টি এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এবার এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ জন্য সবার চেষ্টা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল আলম জানান, জীবিত মানুষ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হলেও মৃতদেহ থেকে করা হয়নি। এখন সেই চেষ্টা চলছে। উন্নত বিশ্বে ৯০ ভাগ কিডনি মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে প্রতিস্থাপন করা হয়। মৃতদেহ থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরি মধ্যে সরকারকে এ বিষয়ে প্রস্থাব দেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেসহ উন্নত বিশ্বে মৃতদেহের কিডনি, হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালির নিম্নাংশ ও মূত্রগ্রন্থি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এটা এখনও শুরু হয়নি। ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে অধিকাংশই এটা করতে চান না। এ জন্য সচেতনতা দরকার।
চিকিৎসকরা জানান, বিশ্বে প্রতিবছর কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ২ কোটি মানুষ । এদের মধ্যে সম্পূর্ণ বিকল ৪০ হাজার মানুষের কিডনি। আর মাত্র ২০ ভাগ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। উন্নত বিশ্বের ৬০ ভাগ রোগী মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সুস্থ হচ্ছেন।